সিরাজগঞ্জে রেস্টুরেন্টে সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় রেস্টুরেন্টের সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামারখন্দ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মা নাইম হোসেনকে (২১) প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— মো. আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩) ও মো. নাজমুল হক নয়ন (২৩)। তারা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে মাদরাসাছাত্রীটি মাদরাসায় যাওয়ার পথে কলম কিনতে দোকানে গেলে নাইম হোসেন নামের এক যুবক জোরপূর্বক তাকে সিএনজিতে তুলে নেয় এবং কামারখন্দের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে নাইম ও তার সহযোগীরা কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের সময় রেস্টুরেন্টের ভেতরে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয় যাতে চিৎকার বাইরে না পৌঁছায়। বাইরে পাহারা দেয় নাইমের বন্ধু ইমরান, আকাশ, আতিক, নাছিম উদ্দিন ও নাজমুল হক নয়ন।
ভুক্তভোগীর মা বলেন,
“আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো মাদরাসায় গিয়েছিল। অনেক সময় পার হয়ে গেলেও না ফেরায় খোঁজ করতে থাকি। পরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোনে জানায়, মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছে। সেখানে গিয়ে দেখি তার অবস্থা গুরুতর।”
পরে কিশোরীকে এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ.টি.এম. নুরুজ্জামান জানান, ভিকটিম বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং সোমবার তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কামারখন্দের ওই রেস্টুরেন্টে দীর্ঘদিন ধরেই অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। মাঝে মাঝে সেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। তারা প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান।
কামারখন্দ থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ বলেন,
“ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালায়। তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল রেস্টুরেন্টটি ক্রাইম সিন হিসেবে বন্ধ করা হয়েছে।”